ইতিহাসের ভয়াবহতম আবিষ্কার হলো আনবিক / পারমানবিক বোমা। এর প্রয়োগ কত ভয়াবহ হতে পারে তা বিশ্ববাসী দেখেছে হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে। বিশ্বের অনেকগুলো প্রভাবশালী দেশ এখন এই ধরনের বোমার মালিক। এর মধ্যে আছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং পাকিস্তান।
হিরোশিমা এবং নাগাসাকির পর আর কোথাও – কোনো যুদ্ধে এই ধরনের বোমার ব্যবহার হয়নি। অবাক করার মত ব্যাপার হলেও সত্য যে এই পারমানবিক বোমা পৃথিবীকে অনেক বড় বড় যুদ্ধ হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। এখনকার পারমানবিক বোমা / অস্ত্র – হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে ব্যবহার হওয়া বোমা গুলো থেকে অনেক অনেক গুন শক্তিশালী। এগুলোর ধংসের ক্ষমতা ও অনেক গুন বেশি। আর এই ধংসের আশংকা থেকে অনেক দেশ – আন্তদেশীয় সংঘাতকে চূড়ান্ত যুদ্ধে রূপ নিতে দেয়নি। কেননা তারা জানে চূড়ান্ত যুদ্ধে পারমানবিক বোমার ব্যবহারের সম্ভাবনা থাকে – আর সেই থেকেই তারা যুদ্ধ পরিহারের দিকেই মনোযোগ দেয়।
আগেই বলেছি আমাদের প্রতিবেশী ভারত এবং পাকিস্তান এই ধরনের পারমানবিক বোমার গর্বিত মালিক। চির বৈরী দুটো দেশ – পারমানবিক বোমার মালিক হওয়ার পর তাদের মধ্যে যুদ্ধের সংখ্যা কমে আসে এবং কখনো কোনো যুদ্ধ বড় সংঘাত এ রূপ নেয়নি।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে পারমানবিক বোমা এখন পর্যন্ত যতটুকু ক্ষতি করেছে – তার চাইতে অনেক বেশি ক্ষতি কমিয়েছে।
ভারতের পারমানবিক গবেষণা এবং পরমানু বোমা বহনকারী মিসাইলের জনক “মিসাইল ম্যান” নামে খ্যাত এ. পি. জে. আব্দুল কালাম আজ (২৭ জুলাই ২০১৫) সন্ধায় শিলং এ একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দানকালে হার্ট এটাক এ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন )। তিনি শুধু একজন সফল বিজ্ঞানীই ছিলেন না – একজন সফল রাষ্ট্রপতি (২০০২ – ২০০৫) ও ছিলেন। তার জীবনাদর্শ এবং মহান উক্তি সব সময় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। ভারতের মত একটি হিন্দু রাষ্ট্রে মুসলিম রাষ্ট্রপতি হওয়া – তার অনন্য কীর্তিরই প্রতিফলনসরূপ। নিশ্চিত ভাবেই – এই উপমহাদেশে শান্তি স্থাপনে তার অবদান চিরসরণীয় হয়ে থাকবে।